সুদানে ভয়াবহ ওষুধ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দেশটির রাজধানী খার্তুমে ভিটামিন সি, এমনকি প্যারাসিটামল পর্যন্ত দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে।
২০১৬ সালে ওষুধ থেকে সরকারি ভর্তুকি তুলে নেওয়ার পর থেকে এই সঙ্কট দেখা দেয়। ওষুধের দাম বাড়তে থাকে।
এ নিয়ে দেশটিতে কয়েকদফা আন্দোলন হলেও সরকার বিষয়টিকে পাত্তা দেয়নি।
সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপরিহার্য ঔষধ ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যায়।
সুদানের প্রায় ২৭টি ওষুধ কোম্পানি আছে, যেগুলো প্রায় ৯০০ ধরনের ওষুধ তৈরি করে।
এদের মধ্যে, সুদানের বৃহত্তম ঔষধ প্রস্তুতকারক আল-শিফা ওষুধ কারখানা ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল হামলায় ধংস হয়ে যায়।
বেশিরভাগ কোম্পানি ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী সুদানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সিবিওএস এর মাধ্যমে আমদানি করে। ব্যাংকটি এখন ভীষণভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।
গত জুলাইয়ে, জাতিসংঘও নিশ্চিত করে যে, সুদান চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে একটি ভয়াবহ ওষুধ সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।- গ্লোবাল ভয়েজ
এখন সময়/শামুমো